আমার এই ছোট্ট জীবনে চলার পথে যাদের সাথে যখনই দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে,
যাদের সাথে ভাব বিনিময় হয়েছে, চলার পথে যাদেরকে আমি বুঝার চেষ্টা করেছি আর
যারা আমাকে বুঝেনি, আমাকে যারা বুঝেছে আর আমি যাদেরকে বুঝতে পারিনি, যাকে
আমার ভালবাসার প্রকাশ করেছি আর যে আমার ভালবাসা বুঝেনি😰 আজকের এই শুভ দিনে সবাইকে হৃদয়ের অভ্যন্তর থেকে জানাই বিশ্ব ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা 🌹
১→খুব সাধারণ এক নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরে ছেলে। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর,
দারিদ্র্য কী জিনিস! খুব স্পষ্টভাবে দেখেছেন তিনি। বেঞ্চে ঘুমিয়ে শতশত রাত
পার করেছেন তিনি। এবং বন্ধুর কাছ থেকে ২০রুপী ধার নিয়ে ফিল্মসিটি ঘুরেছেন।
সে ছেলেটি কে জানেন?? সে ছেলেটি'ই আজকের বলিউডের বাদশাহ, King khan
নামঃ→ Shah Rukh Khan(শাহরুখ খান)
.
২→বাবা ছিলেন দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। আর বালকটি ছিল রাখাল। SSC পাশ করার পর,
গামছা পেতে দোকানে দোকানে ভিক্ষা করে ১৫০ টাকা উঠিয়ে, মির্জাপুর ক্যাডেট
কলেজে ভর্তি হয়েছিল। সেই রাখাল বালক এখন দেশ সেরা অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ
ব্যাংকের সাবেক গভর্নর
নামঃ→ Dr. Atiur Rahman(আতিউর রহমান)
.
৩→মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। পড়াশুনা ও বেশি করেনি। বেকার থাকার কারনে মা'
বাবা প্রায় বকাঝকা করতো। তবুও ছেলেটি ক্রিকেটার হওয়ার সপ্ন দেখা ছারেনি।
প্রায় প্রতিদিনই ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্র্যাকটিসে করতে যেতো। সেই
বেকার ছেলেটিই আজ বাংলাদেশের গর্ব
:-) সবচেয়ে আলোচিত ও দুর্দান্ত বোলার, অসাধারণ পারফর্ম করে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যাকে আজ পুরো বিশ্ব চিনে।
নামঃ→ Mustafizur Rahman(মুস্তাফিজুর রহমান)
.
৪→দু'পায়ে ৭বার সার্জারি করা ছেলেটিকে দেখে সবাই ধরে নিয়েছিল তার ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু সে ছেলেটি এখন দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক
নামঃ→ Mashrafe Bin Mortaza(মাশরাফি বিন মর্তুজা)
.
৫→ছোটবেলা থেকে হরমোন ডেফিশিয়েন্সি, অপুষ্টির স্বীকার ছেলেটি। যার বাবার চিকিৎসা করানোর মতো টাকা ছিলনা।
ছেলেটি কে জানেন? সে-ই ছেলেটি আজকের ফুটবল কিংবদন্তী
নামঃ→ Leonel Messi (মেসি)
.
৬→বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বাস্কেটবল টিম থেকে শুধু উচ্চতায় খাটো হওয়ার
কারণে বাদ পড়া ছেলেটি পরের দুই যুগে শ্রেষ্ঠতম বাস্কেটবল প্লেয়ার হিসেবে
মর্যাদা পেয়েছে। বর্তমানে বাস্কেটবল খেলার মাঠে তাকে একজন আদর্শ মানা হয়।
নামঃ→ Michael Jordan(মাইকেল জর্ডান)
.
৭→পড়ালেখায় মারাত্মক দুর্বল ছিলেন তিনি। ক্লাস এর শেষ বেঞ্চে বসে থাকত।
সাত বছর বয়স পর্যন্ত রিডিং পড়তে অক্ষম। কোন কিছু মনে থাকত না। যাকে
মানসিক প্রতিবন্ধি হিসেবে ধরে নিয়েছিল । সেই বালকটি পৃথিবীকে অবাক করেছেন
তার থিউরি অফ রিলিটিভিটি দিয়ে। নোবেল ও জিতেছেন।
নামঃ→ Albert Einstein(আলবার্ট আইনস্টাইন)
.
৮→ক্লাস এর সবচেয়ে দুর্বল ছাত্র ছিলেন তিনি। তাকে স্কুল থেকে বহিস্কারও
করা হয়েছিল। কিন্তু সে দুর্বল ছাত্র'ইই পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন তার
আবিষ্কার(ইলেকট্রিক বাল্ব) দিয়ে।
নামঃ→ টমাস আলভা এডিসন
.
৯→
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০
নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট
হওয়ার ৩২ বছর পরে
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।
নামঃ→ Bill Gates(বিল গেস্ট)
.
১০→একজন কয়েদীর কথা জানি।
কয়েদী নাম্বার ৪৬৬৬৪। ২৭ বছর কারাবাস করার পরেও নোবেল শান্তি পুরষ্কার জিতেছেন।
নামঃ→ Nelson Mandela(নেলসন মেন্ডেলা)
.
১১→একটি প্রতিবন্ধী মেয়ের কথা যানি। মাত্র চার বছর বয়সে ডাবল নিউমোনিয়ায়
আক্রান্ত হয়ে বাম পা অবশ হয়ে যায়। লোহার জুতো পরে সে বেঁকিয়ে বেঁকিয়ে
হাঁটতো। সে ছোট্ট মেয়েটি যাকে ডাক্তাররা বলেছিলেন সে আর কোনোদিন হাঁটতে
পারবে না। সে মেয়েটিই কিনা
অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে তিনটি সোনা জিতেছিলেন।
এই অসাধারণ সাফল্যে দেখে তার নাম রাখা হয়েছিল "দ্য টর্নেডো"(বিশ্বের
দ্রুততমা মেয়ে)।
নামঃ→ উইলমা রুডলফ
তীব্র আকাঙ্ক্ষা, আর নিয়মিত
পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষ যে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, তার এক জ্বলন্ত
প্রমাণ উইলমা রুডলফ এর এই কাহিনীটি।
:-)
.
আপনিও চেষ্টা করে দেখুন না। হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। শুধু ধৈর্য ধরতে হবে।
ব্যর্থতার গ্লানি একদিন মুছবেই। তারপর আসবে সাফল্যের স্বর্ণসিঁড়ি। আপনি সেই
সিঁড়ি ভেঙ্গে শুধু ওপরেই উঠবেন। এটাই সফলতার ম্যাজিক ফরমুলা।
.
সফল মানুষদের সফল হবার গল্প শুনতে আমাদের ভালো লাগে। তাদের জীবনী পড়ার পর
রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ইচ্ছে হয় এখনই একটা কিছু করে বসি। কিন্তু সেই জোরটা
বেশিদিন থাকে না। কেননা মাথার ভেতরে জেদটা তখনো পাকাপুক্ত ভাবে স্থির
হয়নি।
.
actually সবকিছু নির্ভর করে নিজের উপর। সাফল্য কেউ আপনাকে দিয়ে যাবে না। আপনাকেই ছিনিয়ে আনতে হবে সফলতার সোনার হরিণকে।
একদিন জেলখানার কিছু কয়েদি পরস্পরের মধ্যে প্রচন্ড বিবাদ শুরু করেছিল।
এত তীব্র আকার ধারণ করেছিল যে, সমস্ত পুলিশ প্রশাসন তাদের শান্ত করতে
ব্যর্থ হয়েছিল। জেলখানার পরিবেশে থাকতে থাকতে কয়েদিদের মানসিক অবস্থা এতটাই
বিকৃত হয়েগিয়েছিল যে, তাদের আচরণ হিংস্র পশুর চেয়েও ভয়ানক হয়ে উঠেছিল।
প্রশাসনের কোন অস্ত্র, শাসন ব্যবস্থা ও কোনো প্রকার কঠিন শাস্তির ভয়ও তাদের
বিকৃত মানসিকতাও ভয়ানক আচরণ নিবারনে ব্যর্থ হয়েছিল। এমন সময় ঘটে গেল এক
অদ্ভুত ঘটনা......
এক বৃদ্ধা মহিলা সজোরে কয়েদিদের থামতে বললেন।
তাতে
সমস্ত কয়েদি থমকে গিয়ে সে মহিলার দিকে থাকালেন। সে মহিলাটির চোখের ভাষা
দেখে বুঝে সমস্ত কয়েদিরা বুঝে নিয়েছিল, তাদের ঝগড়া বিবাদে মহিলাটি খুবই
ব্যতীত হয়েছিলেন অতঃপর সমস্ত কয়েদিরা শান্ত হয়েছিল।
কে ছিলেন সে বৃদ্ধা মহিলা????????????
তিনি ছিলেন জেলখানার রাধুনী। অল্প টাকার বিনিময়ে যে কিনা সমস্ত কয়েদিদের
জন্য রান্না করতেন। বৃদ্ধার কোনো সন্তান ছিল না বলে নিজের সন্তানের মত
ভালবাসতেন সমস্ত কয়েদিদের। সমস্ত কয়েদিরাও বৃদ্ধাটির ভালবাসায় বশীভূত
হয়েছিল।
এটাই হল ভালবাসার শক্তি, যেখানে কোনো অস্ত্রই কাজ করে না।
একমাত্র ভালবাসাই সমস্ত সমাধান দিতে পারে। আজকের এই বিশ্বে মানুষে মানষে,
দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে যে বিবাদ তার প্রকৃত সমাধান দিতে পারে প্রতিটি
মানুষের সুপ্ত ভালবাসাকে বিকশিত করে।