মহাভারতে কৌরব ও পাণ্ডবদের সম্মতির দ্বারা
যুদ্ধের নিয়ম নীতি নিশ্চিত করা হয় । কিন্তুু ভীষ্মদেবের পতন এর পর সমস্ত
নিয়ম নীতি ভাঙ্গা হয় । তার মধ্যে সব চেয়ে ভয়ংকর একটি ঘটনা হল
অভিমূণ্যের হত্যা যা ছিল অতন্ত্য জঘন্য কাজ। অভিমূণ্য বীরত্বের সাথে ছয়জন
মহারথীর সাথে যুদ্ধ করেছিল কিন্তু তবুও অভিমূণ্য তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়
এবং তারা সব নিয়ম ভেঙ্গে অভিমূণ্যকে হত্যা করে।
জীবনটা যেসব ব্যক্তিদের জন্য একটি পরীক্ষার মতো যারা নিরন্তর ধর্মের পথ অনুসরন করে এবং আজকের যুগে ধর্ম ও অধর্ম স্থূল বুদ্ধি দ্বারা যখন বিচার করা হয় তখন খুব কষ্টের হয়। ধর্মকে বুঝার জন্য আমাদের কি করা উচিত। পান্ডবরাও এই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তারা কি যুদ্ধ করবে নাকি হিমালয় চলে যাবে। সবল মন চিন্তা করবে দাবি ত্যাগ করার কথা এবং দূর্বল মন চিন্তা করবে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য, কিন্তু সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হল তাদের জন্য যারা সবল চিত্তের মানুষ এবং যারা দায়িত্ব দ্বারাও বাধা, সে দায়িত্ব টা হল "প্রয়োজনীয় কার্য করা" বা "সঠিক কাজ সম্পাদন করা"। "প্রয়োজনীয় কার্য সিদ্ধি" করার সময় হয়তো তাদের ব্যক্তিগত ন্যায়নীতির সাথে আপস করতে হবে এবং "সঠিক কাজ সম্পাদন করলে" সমাজ ও সম্প্রদায়ের উন্নতি হবে। পান্ডবরা তাদের পথ নিশ্চিত করেছিল এবং প্রয়োজনীয় কার্য সিদ্ধি করতে গিয়ে আপতত দৃষ্টিতে তারা অধার্মিক থেকে বেশি নিয়ম ভেঙ্গেছে। যুদ্ধ শেষে দেখা গিয়েছে পান্ডবরাই বেশি নিয়ম ভঙ্গ করেছে, যদিও তারা দায়িত্ব ও কর্তব্য দ্বারা বাধা। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ছিল যাতে সেই অপরাধীরা আর ক্ষতি না করতে পারে।
জীবনটা যেসব ব্যক্তিদের জন্য একটি পরীক্ষার মতো যারা নিরন্তর ধর্মের পথ অনুসরন করে এবং আজকের যুগে ধর্ম ও অধর্ম স্থূল বুদ্ধি দ্বারা যখন বিচার করা হয় তখন খুব কষ্টের হয়। ধর্মকে বুঝার জন্য আমাদের কি করা উচিত। পান্ডবরাও এই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল তারা কি যুদ্ধ করবে নাকি হিমালয় চলে যাবে। সবল মন চিন্তা করবে দাবি ত্যাগ করার কথা এবং দূর্বল মন চিন্তা করবে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য, কিন্তু সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হল তাদের জন্য যারা সবল চিত্তের মানুষ এবং যারা দায়িত্ব দ্বারাও বাধা, সে দায়িত্ব টা হল "প্রয়োজনীয় কার্য করা" বা "সঠিক কাজ সম্পাদন করা"। "প্রয়োজনীয় কার্য সিদ্ধি" করার সময় হয়তো তাদের ব্যক্তিগত ন্যায়নীতির সাথে আপস করতে হবে এবং "সঠিক কাজ সম্পাদন করলে" সমাজ ও সম্প্রদায়ের উন্নতি হবে। পান্ডবরা তাদের পথ নিশ্চিত করেছিল এবং প্রয়োজনীয় কার্য সিদ্ধি করতে গিয়ে আপতত দৃষ্টিতে তারা অধার্মিক থেকে বেশি নিয়ম ভেঙ্গেছে। যুদ্ধ শেষে দেখা গিয়েছে পান্ডবরাই বেশি নিয়ম ভঙ্গ করেছে, যদিও তারা দায়িত্ব ও কর্তব্য দ্বারা বাধা। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ছিল যাতে সেই অপরাধীরা আর ক্ষতি না করতে পারে।
যে মানুষেরা
মহাভারতের সাথে অপরিচিত বা অল্প পরিচিত তাদের কাছে পান্ডবদের এই কার্যগুলো
বিবেক বর্জিত মনে হতে পারে। কিন্তু এটাও সত্য যে - অবিবেকী, অসুর প্রকৃতি,
অধার্মিক কৌরবরা বিশ্বাস করত, যে মানুষেরা ধর্ম আচরণ করবে তাদের প্রতিনিয়ত
তারা ক্ষতিসাধন করতে পারবে এবং যেহেতু তারা অধার্মিক তারা যা খুশি তা করার
লাইসেন্স প্রাপ্ত কেননা তারা মনে করে যারা ধার্মিক তারা কখনো প্রতিশোধ
পরায়ন হবে না। তাই একটি সুশীল সমাজ গড়ার লক্ষে অনেক সময় ধার্মিক
ব্যক্তিদেরও ধূর্ততা ও প্রতারণা করতে হয়।
বর্তমান যুগেও আমরা অনুরূপ ঘটনা দেখতে পাই যখন পুলিশ অফিসার অপরাধী ধরার জন্য রাস্তায় নামে তখন পুলিশ ট্রাফিক নিয়ম অগ্রাহ্য করে কেননা তখন সেটা গৌন মুখ্য নয়। মুখ্য বিষয় হল অপরাধীকে ধরা। ঠিক যেমনি পান্ডবরা ভগবান কৃষ্ণের পরিচালনায় কৌরবদের থেকে অধিক নিয়ম খেলাপ করে হস্তিনাপুরে যথাযথ ন্যায়শাসন পরিচালনা করেছিল।
এটা কি কাটা দিয়ে কাটা তোলা নয়?
আমরা কি বিষ কাটানোর জন্য বিষ প্রয়োগ করি না?
পান্ডবরা তারা তাদের নিজের নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল যাতে একটি উচ্চমানের নীতি স্থাপন হয়। তারা যেসব আদর্শের অনুসারীদের সাথে লড়াই করছিল তারা ছিল সকলেই "ব্যক্তিকেন্দ্রিক"। তারা বিশ্বাস করত শুধু নিজের ধর্ম ও নিজকে। পান্ডবরা ধর্ম এবং অধর্ম দুটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। শুধুমাত্র সার্বজনীন ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
এটা কঠিন কিন্তু সঠিক।
ব্যক্তিতান্ত্রিহীন কিন্তু সঠিক।
Copyright: Sankirtan Madhava Dasবর্তমান যুগেও আমরা অনুরূপ ঘটনা দেখতে পাই যখন পুলিশ অফিসার অপরাধী ধরার জন্য রাস্তায় নামে তখন পুলিশ ট্রাফিক নিয়ম অগ্রাহ্য করে কেননা তখন সেটা গৌন মুখ্য নয়। মুখ্য বিষয় হল অপরাধীকে ধরা। ঠিক যেমনি পান্ডবরা ভগবান কৃষ্ণের পরিচালনায় কৌরবদের থেকে অধিক নিয়ম খেলাপ করে হস্তিনাপুরে যথাযথ ন্যায়শাসন পরিচালনা করেছিল।
এটা কি কাটা দিয়ে কাটা তোলা নয়?
আমরা কি বিষ কাটানোর জন্য বিষ প্রয়োগ করি না?
পান্ডবরা তারা তাদের নিজের নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল যাতে একটি উচ্চমানের নীতি স্থাপন হয়। তারা যেসব আদর্শের অনুসারীদের সাথে লড়াই করছিল তারা ছিল সকলেই "ব্যক্তিকেন্দ্রিক"। তারা বিশ্বাস করত শুধু নিজের ধর্ম ও নিজকে। পান্ডবরা ধর্ম এবং অধর্ম দুটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। শুধুমাত্র সার্বজনীন ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
এটা কঠিন কিন্তু সঠিক।
ব্যক্তিতান্ত্রিহীন কিন্তু সঠিক।